শৈবদের অশৌচ দোষ লাগে না
শিবব্রতৈকনিষ্ঠস্য নাশৌচং ন চ সূতকম্ ॥৮২॥
[ সূত্র - শিবমহাপুরাণ/ বিদ্যেশ্বর সংহিতা/১৮ নং অধ্যায়]
অর্থ — শিবব্রতে একমাত্র শিবেই নিষ্ঠাবান মনুষ্যদের কোনোরকম অশৌচ দোষ ও সূতক লাগে না।
সিদ্ধান্ত - শৈব দের কোনোরকম অশৌচ দোষ লাগেনা তারা সর্বদাই শিবারাধনায় তৎপর ।
নন্দীনাথকৃত ব্যাখ্যা : যারা শিবের ভক্ত হয়ে শিবের শৈব রীতিনীতি পালন করে জীবনযাপন করেন, তাদের জন্য বাহ্যিক আচারের নিয়মনীতির প্রভাব পড়ে না। কারণ, শিব হলেন সকল জীবের অন্তর্যামী আত্মরূপ। আত্মাকে কোনো অশৌচ, দুঃখ, শোক, ক্রোধ স্পর্শ করতে সক্ষম নয়। তাই বলা হয় আত্মা মূলত মায়ার অতীত অর্থাৎ মায়ার প্রভাব থেকে মুক্ত। শিবই যেহেতু আত্মা, তাই শিবই মায়ার উর্ধ্বে বলা হয় শাস্ত্রে। যে ব্যক্তি শিবের এই আত্মজ্ঞানটি জেনে নেয়, সেই ব্যক্তির বাহ্যিক দেহের শুদ্ধি অশুদ্ধির উপর শিবের কৃপালাভ নির্ভর করে না। শিবের এই জ্ঞানময় ব্রতে নিরত থাকা মায়ার দেহ ধারণ করেও অপবিত্র হন না, যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে থাকা আত্মাকে ‘আমি’ বলে জানতে পারেনি, সে দেহকেই নিজের অস্তিত্ব বলে ভাবে, সেই ব্যক্তির জন্য শৌচ-অশৌচ প্রযোজ্য আত্মজ্ঞানী শিবমক্ত শৈব ব্যক্তির জন্য কোনো বাহ্যিক শৌচ-অশৌচ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। এই কারণে শৈবদের শ্রেষ্ঠও বলা হয়েছে শাস্ত্রে ।
শৈব সনাতন ধর্ম সদা বিজয়তে 🚩
হর হর মহাদেব 🚩
সংগ্ৰহে ও লেখনীতে - শ্রীমতি নমিতা রায় দেবীজী
🚩কপিরাইট ও প্রচারে - International Shiva Shakti Gyan Tirtha - ISSGT


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন